অনির্দিষ্টকালের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ দফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদ্যালয় ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শ্রেণি কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
প্রসঙ্গত, গত রোববার প্রধানমন্ত্রীর একটি বক্তব্যের পর কোটা নিয়ে আন্দোলন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। চীন সফর শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা কোটা পাবে না, তো কি রাজাকারের নাতিরা পাবে? বিচিত্র আমাদের দেশ, বিচিত্র আমাদের মানসিকতা।’ এ বক্তব্যের প্রতিবাদে রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা।
সোমবার কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষের শতাধিক আহত হন। ওই রাতেই ঘোষণা দেওয়া হয়, আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হবে। ছাত্রলীগও দুপুরে পাল্টা সমাবেশের ঘোষণা দেয়।
আজ দুই পক্ষের কর্মসূচির চেয়ে সংঘর্ষের ঘটনা বেশি আলোচনায় আসে। এখন পর্যন্ত ঢাকায় ২, চট্টগ্রামে ৩ এবং রংপুরে ১ জন নিহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ জুন সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বহাল রাখার রায় দেন হাইকোর্ট। তবে, কোটাব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে ছাত্র আন্দোলন চলছে। ৭ জুলাই থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করছে এবং ১৪ জুলাই রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে।
১০ জুলাই হাইকোর্টের রায়ের ওপর এক মাসের স্থিতিবস্থা দেন আপিল বিভাগ। ৭ আগস্ট এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও আজ সরকার পক্ষ থেকে লিভ টু আপিল করা হয়েছে।
কোটা সংস্কারে শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবি হলো:
সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে সকল প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটা পদ্ধতি সংশোধন করতে হবে।
from Education Blog https://ift.tt/Y0SCrnN